সংশপ্তক
ProgramDirectory: আবদুল্লাহ আল মামুন
Genre: Drama
Performer: হুমায়ূন ফরীদি,ডলি জহুর,সুবর্ণা মোস্তফা,Raisul Islam Asad
Website: Click here to visit
Youtube: Click here to visit
Wikipedia: Click here to visit
শহীদুল্লাহ কায়সারের সংশপ্তক উপন্যাস অবলম্বনে বিটিভির জন্য নির্মিত হয় সংশপ্তক ধারাবাহিক নাটকটি। ১৯৭১ সালে নির্মাণ শুরু হয় সংশপ্তকের। চার পর্ব প্রচারের পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। থেমে যায় সংশপ্তকের নির্মাণ ও প্রচার। লম্বা বিরতির পর ১৯৮৮ সালে আবার নির্মাণ শুরু হয়। ভয়াবহ বন্যার কারণে আবারো থেমে যায় ধারাবাহিকটির নির্মাণ। বন্যার পর আবার সংশপ্তকের নির্মাণ শুরু হয়।
সংশপ্তক উপন্যাসটির নাট্যরূপ দেন ইমদাদুল হোক মিলন। প্রথম কয়েক পর্ব নির্মাণ করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন ও আল মনসুর। শেষের পর্বগুলো নির্মাণ করেন মোহাম্মদ আবু তাহের।
আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি ২০২০ সালের মে মাসে করোনা মহামারীর সময় পুনঃপ্রচার করে বিটিভি।
একটি মিডিয়ার সাথে সংশপ্তক নির্মাণ সময়ের স্মৃতি স্মরণ করে ফেরদৌসী মজুমদার বলে - সংশপ্তকে ফরিদির (হুমায়ূন ফরিদি) সাথে আমার একটা দৃশ্য ছিলো। আমার ঘরে ঢুকেছে ফরিদি। আমার দিকে তার লোলুপ দৃষ্টি। আমার পাশে এসে বসলো। আমি সরে গেলাম। আবার এগোলো, আমি সরে গেলাম। তার চোখে মুখে লোভাতুর দৃষ্টি। এরমধ্যে পকেট থেকে রুমাল বের করে ঘাম মুছলো ফরিদি। তার চোখের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ভয়, আতঙ্ক, আর লোলুপ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। বলতে পারেন এটা আমার কাছে একটা অবিস্মরনীয় দৃশ্য। ফরিদির এই নাটকে নাম ছিলো রমজান। সবাই ডাকতো কানকাটা রমজান। আমার নাম ছিলো হুরমতি। হুরমতি বুয়া। সংশপ্তকে অভিনয়ের স্মৃতি বলতে গিয়ে এভাবেই একটা দৃশ্যর বর্ণনা করলেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী ফেরদৌসী মজুমদার।
হুমায়ন ফরীদি সম্পর্কে বলতে গিয়ে ফেরদৌসী মজুমদার বলেন - তখন নাটকটি তুমুল জনপ্রিয়। ওই সময় অন্য একটা নাটকের ভয়েস রেকর্ডিং এর জন্য আমি, হুমায়ূন ফরিদি ও সুবর্না মুস্তাফা বাংলাদেশ বেতারে যাচ্ছিলাম। গেটে যেতেই সিকিউরিটি গার্ডরা দূর থেকে ফরিদিকে দেখে বললেন, ওই যে কানকাটা রমজান যায়। এটা শুনে ফরিদি গেল ভয়ংকর রেগে। কঠিন ধমক দিলো গার্ডদের। তারপর আমি গিয়ে ঠাণ্ডা করলাম। বোঝালাম। বললাম, এটাই একজন অভিনেতার আসল প্রাপ্তি ফরিদি। আসলে ফরিদি যেমন অসাধারণ অভিনেতা ছিলো, তেমনি একটা ছোট্ট শিশুর মতো মনও ছিলো ওর।
এই নাটকটা চিত্রনাট্য লেখার সময় আবদুল্লাহ আল মামুন চাচা প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। মা পান্না কায়সারের সঙ্গে আলোচনা করতেন। চা খেতেন। আমার তাদের আলোচনা শুনতাম। তখনই চাচা আমাকে বলেছিলেন অভিনয়ে আসতে। কিন্তু তখনও আমি অভিনয় করার মতো সাহস দেখাইনি। নাটকটি প্রচারের পরের বছরই ঢাকা থিয়েটারে যোগ দিই এবং নিয়মিত অভিনয় শুরু করি। - বললেন শহীদুল্লাহ কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার।
নাটকটিতে অভিনয় করেন হুমায়ন ফরীদি, ফেরদৌসী মজুমদার, সুবর্ণা মোস্তফা, তারেক আনাম সোহো আরো অনেকে।